ঘৃতকুমারী বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত ভেষজ। পেটের পীড়া, মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে রূপচর্যায় এর ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের শহর এলাকায় খুব ভোরে কিংবা সন্ধ্যায় মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় এর শরবত। বিউটি শপগুলোতেও রূপচর্যার উপাদান হিসেবে কিনতে পাওয়া যায় এটি।
ভেষজ এই উদ্ভিদটির একটি বিশেষ মিশ্রণের আছে আলসার, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণের জাদুকরী ক্ষমতা।
সম্প্রতি লাইফ, হেলথ এন্ড ফুড নামের লাইফস্টাইল বিষয়ক অনলাইন সাময়িকীতে বলা হয়েছে, ঘৃতকুমারী আর মধুর মিশ্রণ আলসার, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘৃতকুমারীতে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ। এটি ভিটামিন-এ,সি,ই, ফলিক অ্যাসিড, কোলিন, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬ এর দারুণ উৎস। অল্পসংখ্যক উদ্ভিদের মধ্যে ঘৃতকুমারী একটি যাতে ভিটামিন বি-১২ আছে। প্রায় ২০ ধরনের খনিজ আছে ঘৃতকুমারীতে। এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজ।
প্রতিবেদন অনুসারে ঘৃতকুমারীর অ্যাডাপ্টোজেন ক্ষমতা শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেহের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
আলসার, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিস থেকে মুক্তি পেতে ঘৃতকুমারী আর মধুর মিশ্রণটি কীভাবে প্রস্তুত করতে হবে তার পদ্ধতি…
উপাদান
ঘৃতকুমারীর জেলি ৩ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ ওবং পানি দেড় কাপ।
প্রণালী
প্রথমে ঘৃতকুমারীর পাতা থেকে চামাচের সাহায্যে জেলি সংগ্রহ করুন। এরপর তাতে মধু ও পানি যোগ করে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
ব্যবহার
আলসার, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে মিশ্রণটি প্রতিদিন দুইবার করে মিশ্রণটির আধাগ্লাস পরিমাণ পান করুন। এই মিশ্রণটি খালি পেটের তুলনায় ভরা পেটেই অধিক কার্যকর।
সাবধনতা
মিশ্রণটি বেশি আঠালো হওয়ায় দিনে আধা গ্লাসের দুই ডোজের বেশি গ্রহণ না করাই ভালো।
No comments:
Post a Comment