ঘাড়ের মেরুদন্ডে যে হাড় ও জয়েন্ট আছে তা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্যবহারের ফলে তাতে ক্ষয় জনিত পরিবর্তন ঘটে তার লিগামেন্ট গুলো মোটা ও শক্ত হয়ে যায় এবং দুইটি হাড়ের মাঝে যে ডিস্ক থাকে তার উচ্চতা কমে এবং সরু হওয়া শুরু হয়। আবার অনেক সময় হাড়ের মাঝে যে ডিস্ক থাকে তার উচ্চতা কমে এবং সরু হওয়া শুরু হয়।
আবার অনেক সময় হাড়ের মাঝে দুরুত্ব কমে গিয়ে পাশে অবস্থিত স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে ব্যাথার জন্ম দিতে পারে। অনেক সময় স্নায়ু রজ্জু সরু হয়ে যেতে পারে। ফলে ঘাড় ব্যাথা ও নড়াচড়া করতে অসুবিধা সহ মাথা ব্যথা কিম্বা ব্যথা হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। ফলে ঘাড় ব্যথা ও নড়াচড়া করতে অসুবিধা সহ মাথা ব্যাথা কিম্বা ব্যথা হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
দীর্ঘদিন এই ব্যথা অব্যাহত থাকলে ঘাড়ের মেরুদন্ডের
বিকৃতি বা স্পাইরাল ডিফারমিটি দেখা দিতে পারে। এই সব সমস্যা গুলোকে প্রকার
ভেদে বিভিন্ন নামে নামকরন করা হয় যেমনঃ সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস,
সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসথোসিস, সারভাইক্যাল রিব, স্টিফ নেক, সারভাইক্যাল
ইনজুরি ইত্যাদি।
ঘাড় মেরুদন্ড ও কোমরে ব্যাথা রোগীর জন্য করণীয় –
- নির্দেশমত নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।
- আক্রান্ত স্থানে অল্প গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে শ্যাক দিবেন।
- মেরুদন্ড ও ঘাড় বাকা করে (নিচু হয়ে) কোন কাজ করবেন না।
- যে কোন এক দিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে শোয়া থেকে উঠবেন।
- পিড়া, মোড়ায় না বসে পীঠে সাপোর্ট দিয়ে চেয়ারে বসবেন।
- চেয়ারে টেবিলে বসে ভাত খেতে হবে।
- হাটু ভাঁজ করে বসা উচিত নয়।
- ফোমের বিছানায় (নরম বিছানায়) শোয়া নিষেধ।
- দাঁড়িয়ে রান্না করবেন, প্রয়োজন হলে চেয়ারে বসবেন।
- উপুর হয়ে ঘুমাবেন না, শুয়ে শুয়ে টিভি দেখবেন না।
- কোন জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তুলুন।
- ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে গোসল করবেন।
- ব্যাথা বেশী থাকা অবস্থায় কোন প্রকার ব্যায়াম করবেন না।
- মোটা ব্যাক্তির শরীরের ওজন কমাতে হবে।
- সিঁড়িতে উঠার সময় ধীরে ধীরে হাতল ধরে সোজা হয়ে উঠবেন।
- ব্যায়াম নিয়মানুযায়ী করবেন।
- কোন প্রকার মালিশ করবেন না।
- ঝকিপূর্ণ যানবাহন অথবা রাস্তা ব্যবহার করবেন না।
- সেভ করার সময় মাথা বাকা না করাই উত্তম।
- উচু কমোডে বসে পায়খানা/প্রস্রাব করবেন।
- দীর্ঘ সময় যাবৎ দাঁডিয়ে কিংবা বসে থাকবেন না।
- শোবার সময় একটি পাতলা নরম বালিশ দ্বারা ঘাড়ে সাপোর্ট দিয়ে ঘুমাবেন।
- হাটার সময় নির্দেশমত হাতে লাঠি ব্যবহার করবেন।
- গাড়িতে চড়ার সময় বেল্ট ব্যবহার করবেন।
- অনেক্ষন ধরে হাটা বা দৌড়ানো ঠিক নয়।
- বোতল হাতে ঘাড় বাকা করে পানি পান করবেন না।
- লেখা-পড়া করার জন্য মাইনাস ডেক্স ব্যবহার করুন।
- হাই হিল যুক্ত জুতা পরবেন না।
- যাত্রার সময় সামনের আসনে বসবেন।
- কলার/করসেট-বেল্ট দেয়া হলে তা ভ্রমনের সময় অবশ্যই পরবেন, ঘুমানের ও ব্যায়াম করার সময় খুলে নিবেন।
No comments:
Post a Comment