আরটিভি:
ঘটনাটি ২০১৪ সালের ৭ই মে’র। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজ নাইন’-এর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে কীভাবে বাবা মা’র অনুপস্থিতিতে একটি শিশুর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে তাকে পর্যালোচনাকারী এক নারী। ভিডিওটি এ বছরের ৫ই মে তে ইউটিউবে আপলোড করা হলে তা ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে।
ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে বাসায় কাজের মানুষের কাছে রেখে যাওয়ার পর সে এরকম নির্যাতন চালিয়েছে। এ রকম ভিডিও দেখার পর কাজের লোকের কাছে রেখে যাওয়া কর্মজীবী নারীরা সন্তানকে নিয়ে আরও বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার এ ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আরটিভি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই নারী একজন কাজের বুয়া।
প্রতিবেদক নুসরাত জাহান সিনথী কাজের লোকেদের বিষয়ে কথা বলেন কয়েকজন মায়ের সাথে। তারা বলছেন, কাজের বুয়ার কাছে সন্তানকে রেখে গেলে তারা সঠিকভাবে শিশুর যত্ন নেয় না।
একজন মা বলছেন, ‘দেখা যায় খাবার যেটা রেখে গেছি বেবিকে সেটা খাওয়ানো হয়নি। কাজের মেয়েই অনেক সময় খেয়ে ফেলে। আবার বেবি বলতো, মা তুমি যখন বাসায় থাকো তখন ও আমাকে ‘ভাইয়া’ ‘ভাইয়া’ করে বলে, আর তুমি যখন চলে যাও তখন ও আমাকে ‘তুই’ ‘তুই’ করে বলে।’
আরেকজন মা বলছেন, ‘কাজের বুয়ার কাছে রাখলে ভালভাবে দেখে না। পালিয়ে নিয়ে যায় কিনা এমন ভয়ও লাগে। তারপরও কাজের লোক তো খুঁজতেই হয়, তা না হলে তো পারা যাবে না যেহেতু আমি চাকরিজীবি।’
এ বিষয়ে প্রতিবেদক কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউড-এর সাইকোথেরাপী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালের সাথে।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি আমার কাজের বুয়াকে মর্যাদা দেই, আমার কাজের বুয়া আমার সন্তানকে সেটা দিবে। আর আমার কাছে সে যদি শত্রুতাপূর্ণ আচরণ পায়, আমার কাছে যদি বঞ্চনার শিকার হয় তাহলে কিন্তু সেই ক্ষোভটা পড়বে বাচ্চার উপরে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাচ্চা নিরাপদ আছে, নিরাপদ বোধে আছে সেই নিশ্চয়তা নির্মাণ করতে হবে আমাকেই’।
এ ক্ষেত্রে শিশুর প্রতি কাজের লোকের খারাপ আচরণ বন্ধে বাবা মায়েদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই মনোবিজ্ঞানী।
কাজের লোককে শিশুটি পছন্দ করছে কিনা সেটা বোঝার জন্য তিনি বলেন, ‘মা অফিস থেকে আসার আগে বাচ্চা অপেক্ষা করছে কখন মা আসবে। মা আসার সাথে সাথে শিশু মার কোলে ঝাপিয়ে পড়ছে। তখনই বুঝতে হবে এই কাজের মানুষের সাথে বাচ্চার মমতার বন্ধন হয়নি’।
এরকম পরিস্থিতিতে অনেক মা’ই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। চাকরী ছেড়ে দিয়েছেন এমন কয়েকজন মায়ের সাথেও কথা বলেন প্রতিবেদক।
তারা জানান, অফিসে ‘ডে কেয়ার’ থাকলে তারা চাকরিটা চালিয়ে যেতে পারতেন।
ঘটনাটি ২০১৪ সালের ৭ই মে’র। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজ নাইন’-এর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে কীভাবে বাবা মা’র অনুপস্থিতিতে একটি শিশুর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে তাকে পর্যালোচনাকারী এক নারী। ভিডিওটি এ বছরের ৫ই মে তে ইউটিউবে আপলোড করা হলে তা ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে।
ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে বাসায় কাজের মানুষের কাছে রেখে যাওয়ার পর সে এরকম নির্যাতন চালিয়েছে। এ রকম ভিডিও দেখার পর কাজের লোকের কাছে রেখে যাওয়া কর্মজীবী নারীরা সন্তানকে নিয়ে আরও বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার এ ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আরটিভি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই নারী একজন কাজের বুয়া।
প্রতিবেদক নুসরাত জাহান সিনথী কাজের লোকেদের বিষয়ে কথা বলেন কয়েকজন মায়ের সাথে। তারা বলছেন, কাজের বুয়ার কাছে সন্তানকে রেখে গেলে তারা সঠিকভাবে শিশুর যত্ন নেয় না।
একজন মা বলছেন, ‘দেখা যায় খাবার যেটা রেখে গেছি বেবিকে সেটা খাওয়ানো হয়নি। কাজের মেয়েই অনেক সময় খেয়ে ফেলে। আবার বেবি বলতো, মা তুমি যখন বাসায় থাকো তখন ও আমাকে ‘ভাইয়া’ ‘ভাইয়া’ করে বলে, আর তুমি যখন চলে যাও তখন ও আমাকে ‘তুই’ ‘তুই’ করে বলে।’
আরেকজন মা বলছেন, ‘কাজের বুয়ার কাছে রাখলে ভালভাবে দেখে না। পালিয়ে নিয়ে যায় কিনা এমন ভয়ও লাগে। তারপরও কাজের লোক তো খুঁজতেই হয়, তা না হলে তো পারা যাবে না যেহেতু আমি চাকরিজীবি।’
এ বিষয়ে প্রতিবেদক কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউড-এর সাইকোথেরাপী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালের সাথে।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি আমার কাজের বুয়াকে মর্যাদা দেই, আমার কাজের বুয়া আমার সন্তানকে সেটা দিবে। আর আমার কাছে সে যদি শত্রুতাপূর্ণ আচরণ পায়, আমার কাছে যদি বঞ্চনার শিকার হয় তাহলে কিন্তু সেই ক্ষোভটা পড়বে বাচ্চার উপরে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাচ্চা নিরাপদ আছে, নিরাপদ বোধে আছে সেই নিশ্চয়তা নির্মাণ করতে হবে আমাকেই’।
এ ক্ষেত্রে শিশুর প্রতি কাজের লোকের খারাপ আচরণ বন্ধে বাবা মায়েদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই মনোবিজ্ঞানী।
কাজের লোককে শিশুটি পছন্দ করছে কিনা সেটা বোঝার জন্য তিনি বলেন, ‘মা অফিস থেকে আসার আগে বাচ্চা অপেক্ষা করছে কখন মা আসবে। মা আসার সাথে সাথে শিশু মার কোলে ঝাপিয়ে পড়ছে। তখনই বুঝতে হবে এই কাজের মানুষের সাথে বাচ্চার মমতার বন্ধন হয়নি’।
এরকম পরিস্থিতিতে অনেক মা’ই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। চাকরী ছেড়ে দিয়েছেন এমন কয়েকজন মায়ের সাথেও কথা বলেন প্রতিবেদক।
তারা জানান, অফিসে ‘ডে কেয়ার’ থাকলে তারা চাকরিটা চালিয়ে যেতে পারতেন।
No comments:
Post a Comment