ছোট ছোট বাচ্চাগুলো ভারী ভারী সব ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে—এ দৃশ্যে
মন কাঁদে অনেকের। কেউ কর্তৃপক্ষের গোষ্ঠী উদ্ধার করে, কেউবা হতাশায়
দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারী ব্যাগ নিয়েই বিদ্যালয়ে যেতে হয়
কচি বাচ্চাগুলোকে। তবে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে শিশুদের এ অবস্থা থেকে
মুক্তি দিতে চাইছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য।
বিবিসি অনলাইনের
খবরে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ শিশুদের স্কুল ব্যাগের ওজন
নির্ধারণ করে দিয়েছে। একটি শিশুর যা ওজন তার মাত্র ১০ শতাংশ ওজনের স্কুল
ব্যাগ সে বহন করবে। কোনোভাবেই স্কুল ব্যাগের ওজন এর চেয়ে বেশি হতে পারবে
না।
মহারাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই বলে সতর্ক করেছেন
যে ভারী ওজনের কারণে শিশুদের মেরুদণ্ড ও অস্থিসন্ধি স্থলে ক্ষতি সাধিত হয়।
ছোট্ট শিক্ষার্থীরা যাতে ভারী স্কুল ব্যাগ না নেয় সে বিষয় নিশ্চিত করতে
শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নির্দেশ পালন না করলে সুস্পষ্ট
শাস্তির কোনো কথা বলা হয়নি।
পড়াশোনায় সাফল্যের জন্য ভারতের শিশুদের নির্ধারিত পাঠ্যসূচির বাইরেও অনেক ধরনের বই পড়া বাধ্যতামূলক করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী
আদেশে নন্দ কুমার লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি নোট বই, পাঠ্য বই,
খাতা-পেনসিল-কলমের ওজনে স্কুল ব্যাগের যে ওজন হয়, তা শিশুদের ওজনের ২০ থেকে
৩০ শতাংশ।’ ওই আদেশে বিদ্যালয়গুলোতে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ
নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাড়তি বই বিদ্যালয়ে রেখে দেওয়ার জন্য জায়গা বাড়ানোর
কথা বলা হয়েছে।
এক শিক্ষার্থী এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ
করেছে। তার ভাষায়, ‘আমি খুশি। কারণ, আমাকে আগের চেয়ে কম ওজনের ব্যাগের ভার
বইতে হবে। ব্যাগের ভার বইতে বইতে ক্লাস শেষে খেলা বা পড়ার আর কোনো শক্তি
থাকত না আমার। এখন হালকা ব্যাগ নিয়ে বাড়ি হেঁটে আসব, এর চেয়ে আনন্দের আর কী
হতে পারে!
No comments:
Post a Comment