কখনো কি মনে হয়েছে অন্যদের তুলনায় আপনার
বুদ্ধি বেশ কম? বা আপনার কি খুব সহজ জিনিসও বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লাগে?
ভাববেন না আপনি জন্ম থেকেই এমন। অনেকেরই ধারণা যাদের বুদ্ধি কম তারা জন্ম
থেকেই এমনটি হয়ে থাকেন। ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। জেনেটিক্যাল ডিজঅর্ডার
ছাড়া কমবেশি প্রায় সকলেই কাছাকাছি ধরণের আইকিউ নিয়ে জন্মান। বুদ্ধির বিকাশ
ঘটে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর মাধ্যমে। এইসবের মধ্যে রয়েছে পারিবারিক
বিষয়াদি, জীবনযাপন এমনকি খাদ্যাভ্যাস পর্যন্ত।তাই
নিজের বুদ্ধি নিয়ে যদি আপনার সন্দেহ থাকে সৃষ্টিকর্তার উপর দোষ দেবেন না।
আপনার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের প্রভাব আপনার বুদ্ধি বিকাশের উপর পড়ে থাকে। তাই
আজ জেনে নিন নিজের বুদ্ধির প্রখরতা বৃদ্ধি করার ছোট্ট কিছু কৌশল।
১) ঘুম
থেকে উঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে দুই গ্লাস পানি পান করে ফেলুন। ৬-৯ ঘণ্টা
ঘুমিয়ে থাকার কারণে দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়ে যার প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে থাকে।
দিনের শুরুতেই নিজের এই পানিশূন্যতা দূর করে ফেলতে পারলে মস্তিস্ক সঠিকভাবে
কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়।
২) বই
পড়ুন যখনই সময় পান। আমরা ব্যস্ততার কারণে বইয়ের ধারে কাছে যাই না। আবার
সময় পেলে তা ফেসবুকেই কাটিয়ে দিই। এতে কিন্তু আপনার বুদ্ধি খুলছে না। যদি
একটু আধটু সময় পান তাহলে ইন্টারনেটেই পড়ে ফেলুন না একটি বইয়ের কয়েক পাতা।
নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের প্রখরতা বাড়ায়।
৩) কাজের
সময় কফি বা চা বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গ্রিন টির
ল-থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কের আলফা ব্রেইন ওয়েভ বৃদ্ধি করে
তা বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়ক।
৪) চিনির
মাত্রা যতোটা সম্ভব কমিয়ে দিন। চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে
মস্তিস্ক সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারাতে থাকে দিনকে দিন। চিনি থেকে যতো
দূরে থাকবেন ততোই আপনার বুদ্ধির জন্য ভালো।
৫) সময়
পেলে অনেকেই টিভি বা মুভি দেখতে বসে যান। আজ থেকে এই কাজটি বাদ দিয়ে দিন।
এর পরিবর্তে সময় পেলে গেম খেলুন। গেম খেলার জন্য যে দক্ষতার প্রয়োজন হয় তা
আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ করে তোলে এবং আপনার বুদ্ধির প্রখরতা বাড়ায়।
৬) যার
সঙ্গে আপনার মতামতের একেবারেই মিল নেই এমন কারো সাথে তর্কে জড়িয়ে যান।
শুনতে খুব হাস্যকর মনে হলেও তর্কে জেতার কারণে আপনার মস্তিস্ক অনেক ধরণের
বিচার বিশ্লেষণে জড়িয়ে যাবে যা আপনার বুদ্ধি বাড়াতে সহায়ক।
৭) দিনের
কিছুটা সময় ব্যয় করুন প্রকৃতির মাঝে। সবুজ প্রকৃতি আপনার চোখের জন্য ভালো।
এবং প্রকৃতির যতো কাছাকাছি যাবেন ততো বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিতে পারবেন তা
আপনার মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ডকে আরো অনেক বেশি উন্নত করে তুলতে সহায়তা করবে।
No comments:
Post a Comment