পাইলস কী ও কেন এটি হয়?
পাইলস মূলত মলদ্বারের পাশের রক্তনালিগুলো যেগুলো থাকে, তার স্ফীতি। প্রত্যেক মানুষের রক্তনালিগুলো মলদ্বারের কাছে এসে শেষ হয়। এখান থেকে ভেইনগুলোর উৎপত্তি হয়। রক্তটা পুনরায় মানুষের শরীরের দিকে, অর্থাৎ হার্টের দিকে ফেরত আসে। তবে এ জায়গায় যেহেতু কিছুক্ষণ সময়ের জন্য রক্তটা থেমে থাকে, সেই অবস্থায় দেখা যায় মলদ্বারে রক্তনালিগুলোর স্ফীতি, পাশাপাশি দেখা যায়, পাতলা যে আবরণ থাকে মিউকোসা, সেটারও স্ফীতি দেখা যায়। এটাই মূলত আমরা জানি।
কারা সাধারণত এই পাইলসে ভুগে থাকেন?
কোনো ব্যক্তি বিশেষ আলাদা করে নয়, সবারই মলদ্বারের ভেতরে এই রক্তনালি থাকার কারণে পাইলস অল্প হলেও থাকে। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এগুলোর স্ফীতি ঘটে। কারো ক্ষেত্রে হয়তো সাময়িক স্ফীতি ঘটে, কারো ক্ষেত্রে স্ফীতি এত বেশি হয় যে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। এগুলোর আকার অনেক বড় হয়ে যায়।
কোন কারণে সমস্যাটি হয়?
নির্দিষ্ট করে কোনো কারণ বলা সম্ভব নয় বা এখন পর্যন্ত সেটি পাওয়া যায়নি। তবে দেখা যায় যে, পরিবারের অনেকেই এই রোগে ভোগেন। সেই ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, একই বংশের অনেকের এ সমস্যা হয়। পাশাপাশি দেখা যায় যে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে আছে, যাদের কাজটা বসে থাকা, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সমস্যা বেশি হয়। পাশাপাশি যাদের স্বাস্থ্য ভালো, তাদের ক্ষেত্রে এমন হয়। এর পাশাপাশি যাদের নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, পায়খানাটা নরম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয়। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রেও এটা দেখা দেয়। যেমন—লিভার সিরোসিস বা অন্য জায়গায় ক্যানসার থাকলে তখন দেখা দেয়। এর বাইরে মানুষের কিছু কিছু শারীরিক পরিবর্তন, অর্থাৎ যখন গর্ভবতী হয়, তখন এ ধরনের পাইলস দেখা দেয়। এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে মানুষ যখন শুয়ে থাকে, তার পায়খানা যথাযথভাবে বের হয় না বা শক্ত হয়ে যায়, তখন চাপ দেওয়ার কারণে পাইলসগুলো বড় হয়ে যায়।
পাইলসের লক্ষণগুলো কী বা কীভাবে বুঝব পাইলস হয়েছে?
প্রাথমিকভাবে তার মলদ্বারে কিছুটা হলেও জ্বালাপোড়া হবে। কখনো কখনো চুলকাতে পারে বা তার মলদ্বার একটু ভেজা ভেজা মনে হতে পারে। মলদ্বারের স্ফীতি সে মলত্যাগ করার সময় বুঝতে পারবে। মূলত ভেতরের দিকের পাইলাস, যেহেতু পাইলস দুই ভাগে থাকে, একটা ইন্টারনাল পাইলস বা ভেতরের অংশের পাইলস, আরেকটি বাইরের অংশের পাইলস। ভেতরের অংশের পাইলসগুলো বুঝতে কষ্ট হয়, যত দিন না এগুলো বাইরে চলে আসে বা রক্তক্ষরণ হয়, তত দিন পর্যন্ত বোঝা যায় না। বাইরের যে পাইলসগুলো থাকে, সেগুলো সহজে বোঝা যায়। কারণ হলো স্ফীত হয়ে যায় আর রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ব্যথা বোধ করে। তখন এটি বোঝা সহজ হয়। তবে ইন্টারনাল পাইলসগুলো একটু দেরিতে বুঝতে পারে।
পাইলসের কিছু পর্যায় রয়েছে। কিসের ভিত্তিতে সেই পর্যায় নির্ধারিত হয়?
এর পর্যায় আমরা ভাগ করে থাকি, ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর হিসেবে। ওয়ান হলো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়, খুব একটা সমস্যা রোগীদের হয় না। দেখতে পারি যে তাদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হয় না। হয়তো জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন বা খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন করলে এটি সম্ভব। পর্যায় টু-তে এটা একটু বড় হয়, প্রথম পর্যায় থেকে দ্বিতীয় পর্যায়টা একটু বড় হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, পাশাপাশি কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে সম্ভব। তৃতীয় পর্যায়ে মূলত পাইলসটা মলদ্বারের মুখের কাছে চলে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মলত্যাগ করার পর আবার ভেতরে চলে যায়। কখনো কখনো হয়তো চাপ প্রয়োগ করে ভেতরে ঢোকানো লাগে। এ ক্ষেত্রে ওষুধে খুব একটা কাজ হয় না। আমরা মূলত এ ক্ষেত্রে সার্জারির কথা বলে থাকি। আর চতুর্থ পর্যায়, যেটা ভেতরের পাইলসগুলো মলদ্বারের একেবারের বাইরের পর্যায়ে এসে যায়, বাইরেই থাকে সব সময়, এটাতে সে সব সময় অস্বস্তি বোধ করে, এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার অবশ্যই প্রয়োজন। এ ছাড়া একে ওষুধের সাহায্যে কোনোভাবে চিকিৎসা দিয়ে নিরাময় করা যায় না।
পরে আবার নতুন করে হওয়ার কি কোনো আশঙ্কা রয়েছে?
আসলে যেটা হয়, যিনি অস্ত্রোপচার করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। আমি ২০ বছর ধরে এই অস্ত্রোপচারগুলো করে আসছি। আমি যাদের করে দিয়েছি, তাঁদের দ্বিতীয়বার দেখিনি যে এই পাইলস নিয়ে আসতে।
- See more at: http://blog.doctorola.com/archives/3442#sthash.OeUKjsos.dpuf
পাইলস মূলত মলদ্বারের পাশের রক্তনালিগুলো যেগুলো থাকে, তার স্ফীতি। প্রত্যেক মানুষের রক্তনালিগুলো মলদ্বারের কাছে এসে শেষ হয়। এখান থেকে ভেইনগুলোর উৎপত্তি হয়। রক্তটা পুনরায় মানুষের শরীরের দিকে, অর্থাৎ হার্টের দিকে ফেরত আসে। তবে এ জায়গায় যেহেতু কিছুক্ষণ সময়ের জন্য রক্তটা থেমে থাকে, সেই অবস্থায় দেখা যায় মলদ্বারে রক্তনালিগুলোর স্ফীতি, পাশাপাশি দেখা যায়, পাতলা যে আবরণ থাকে মিউকোসা, সেটারও স্ফীতি দেখা যায়। এটাই মূলত আমরা জানি।
কারা সাধারণত এই পাইলসে ভুগে থাকেন?
কোনো ব্যক্তি বিশেষ আলাদা করে নয়, সবারই মলদ্বারের ভেতরে এই রক্তনালি থাকার কারণে পাইলস অল্প হলেও থাকে। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এগুলোর স্ফীতি ঘটে। কারো ক্ষেত্রে হয়তো সাময়িক স্ফীতি ঘটে, কারো ক্ষেত্রে স্ফীতি এত বেশি হয় যে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। এগুলোর আকার অনেক বড় হয়ে যায়।
কোন কারণে সমস্যাটি হয়?
নির্দিষ্ট করে কোনো কারণ বলা সম্ভব নয় বা এখন পর্যন্ত সেটি পাওয়া যায়নি। তবে দেখা যায় যে, পরিবারের অনেকেই এই রোগে ভোগেন। সেই ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, একই বংশের অনেকের এ সমস্যা হয়। পাশাপাশি দেখা যায় যে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে আছে, যাদের কাজটা বসে থাকা, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সমস্যা বেশি হয়। পাশাপাশি যাদের স্বাস্থ্য ভালো, তাদের ক্ষেত্রে এমন হয়। এর পাশাপাশি যাদের নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, পায়খানাটা নরম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয়। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রেও এটা দেখা দেয়। যেমন—লিভার সিরোসিস বা অন্য জায়গায় ক্যানসার থাকলে তখন দেখা দেয়। এর বাইরে মানুষের কিছু কিছু শারীরিক পরিবর্তন, অর্থাৎ যখন গর্ভবতী হয়, তখন এ ধরনের পাইলস দেখা দেয়। এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে মানুষ যখন শুয়ে থাকে, তার পায়খানা যথাযথভাবে বের হয় না বা শক্ত হয়ে যায়, তখন চাপ দেওয়ার কারণে পাইলসগুলো বড় হয়ে যায়।
পাইলসের লক্ষণগুলো কী বা কীভাবে বুঝব পাইলস হয়েছে?
প্রাথমিকভাবে তার মলদ্বারে কিছুটা হলেও জ্বালাপোড়া হবে। কখনো কখনো চুলকাতে পারে বা তার মলদ্বার একটু ভেজা ভেজা মনে হতে পারে। মলদ্বারের স্ফীতি সে মলত্যাগ করার সময় বুঝতে পারবে। মূলত ভেতরের দিকের পাইলাস, যেহেতু পাইলস দুই ভাগে থাকে, একটা ইন্টারনাল পাইলস বা ভেতরের অংশের পাইলস, আরেকটি বাইরের অংশের পাইলস। ভেতরের অংশের পাইলসগুলো বুঝতে কষ্ট হয়, যত দিন না এগুলো বাইরে চলে আসে বা রক্তক্ষরণ হয়, তত দিন পর্যন্ত বোঝা যায় না। বাইরের যে পাইলসগুলো থাকে, সেগুলো সহজে বোঝা যায়। কারণ হলো স্ফীত হয়ে যায় আর রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ব্যথা বোধ করে। তখন এটি বোঝা সহজ হয়। তবে ইন্টারনাল পাইলসগুলো একটু দেরিতে বুঝতে পারে।
পাইলসের কিছু পর্যায় রয়েছে। কিসের ভিত্তিতে সেই পর্যায় নির্ধারিত হয়?
এর পর্যায় আমরা ভাগ করে থাকি, ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর হিসেবে। ওয়ান হলো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়, খুব একটা সমস্যা রোগীদের হয় না। দেখতে পারি যে তাদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হয় না। হয়তো জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন বা খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন করলে এটি সম্ভব। পর্যায় টু-তে এটা একটু বড় হয়, প্রথম পর্যায় থেকে দ্বিতীয় পর্যায়টা একটু বড় হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, পাশাপাশি কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে সম্ভব। তৃতীয় পর্যায়ে মূলত পাইলসটা মলদ্বারের মুখের কাছে চলে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মলত্যাগ করার পর আবার ভেতরে চলে যায়। কখনো কখনো হয়তো চাপ প্রয়োগ করে ভেতরে ঢোকানো লাগে। এ ক্ষেত্রে ওষুধে খুব একটা কাজ হয় না। আমরা মূলত এ ক্ষেত্রে সার্জারির কথা বলে থাকি। আর চতুর্থ পর্যায়, যেটা ভেতরের পাইলসগুলো মলদ্বারের একেবারের বাইরের পর্যায়ে এসে যায়, বাইরেই থাকে সব সময়, এটাতে সে সব সময় অস্বস্তি বোধ করে, এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার অবশ্যই প্রয়োজন। এ ছাড়া একে ওষুধের সাহায্যে কোনোভাবে চিকিৎসা দিয়ে নিরাময় করা যায় না।
পরে আবার নতুন করে হওয়ার কি কোনো আশঙ্কা রয়েছে?
আসলে যেটা হয়, যিনি অস্ত্রোপচার করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। আমি ২০ বছর ধরে এই অস্ত্রোপচারগুলো করে আসছি। আমি যাদের করে দিয়েছি, তাঁদের দ্বিতীয়বার দেখিনি যে এই পাইলস নিয়ে আসতে।
- See more at: http://blog.doctorola.com/archives/3442#sthash.OeUKjsos.dpuf
পাইলস কী ও কেন এটি হয়?
পাইলস মূলত মলদ্বারের পাশের রক্তনালিগুলো যেগুলো থাকে, তার স্ফীতি। প্রত্যেক মানুষের রক্তনালিগুলো মলদ্বারের কাছে এসে শেষ হয়।
এখান থেকে ভেইনগুলোর উৎপত্তি হয়। রক্তটা পুনরায় মানুষের শরীরের দিকে, অর্থাৎ হার্টের দিকে ফেরত আসে। তবে এ জায়গায় যেহেতু কিছুক্ষণ সময়ের জন্য রক্তটা থেমে থাকে, সেই অবস্থায় দেখা যায় মলদ্বারে রক্তনালিগুলোর স্ফীতি, পাশাপাশি দেখা যায়, পাতলা যে আবরণ থাকে মিউকোসা, সেটারও স্ফীতি দেখা যায়। এটাই মূলত আমরা জানি।পাইলস মূলত মলদ্বারের পাশের রক্তনালিগুলো যেগুলো থাকে, তার স্ফীতি। প্রত্যেক মানুষের রক্তনালিগুলো মলদ্বারের কাছে এসে শেষ হয়।
কারা সাধারণত এই পাইলসে ভুগে থাকেন?
কোনো ব্যক্তি বিশেষ আলাদা করে নয়, সবারই মলদ্বারের ভেতরে এই রক্তনালি থাকার কারণে পাইলস অল্প হলেও থাকে। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এগুলোর স্ফীতি ঘটে। কারো ক্ষেত্রে হয়তো সাময়িক স্ফীতি ঘটে, কারো ক্ষেত্রে স্ফীতি এত বেশি হয় যে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। এগুলোর আকার অনেক বড় হয়ে যায়।
কোন কারণে সমস্যাটি হয়?
নির্দিষ্ট করে কোনো কারণ বলা সম্ভব নয় বা এখন পর্যন্ত সেটি পাওয়া যায়নি। তবে দেখা যায় যে, পরিবারের অনেকেই এই রোগে ভোগেন। সেই ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, একই বংশের অনেকের এ সমস্যা হয়। পাশাপাশি দেখা যায় যে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে আছে, যাদের কাজটা বসে থাকা, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সমস্যা বেশি হয়। পাশাপাশি যাদের স্বাস্থ্য ভালো, তাদের ক্ষেত্রে এমন হয়। এর পাশাপাশি যাদের নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, পায়খানাটা নরম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয়। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রেও এটা দেখা দেয়। যেমন—লিভার সিরোসিস বা অন্য জায়গায় ক্যানসার থাকলে তখন দেখা দেয়। এর বাইরে মানুষের কিছু কিছু শারীরিক পরিবর্তন, অর্থাৎ যখন গর্ভবতী হয়, তখন এ ধরনের পাইলস দেখা দেয়। এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে মানুষ যখন শুয়ে থাকে, তার পায়খানা যথাযথভাবে বের হয় না বা শক্ত হয়ে যায়, তখন চাপ দেওয়ার কারণে পাইলসগুলো বড় হয়ে যায়।
পাইলসের লক্ষণগুলো কী বা কীভাবে বুঝব পাইলস হয়েছে?
প্রাথমিকভাবে তার মলদ্বারে কিছুটা হলেও জ্বালাপোড়া হবে। কখনো কখনো চুলকাতে পারে বা তার মলদ্বার একটু ভেজা ভেজা মনে হতে পারে। মলদ্বারের স্ফীতি সে মলত্যাগ করার সময় বুঝতে পারবে। মূলত ভেতরের দিকের পাইলাস, যেহেতু পাইলস দুই ভাগে থাকে, একটা ইন্টারনাল পাইলস বা ভেতরের অংশের পাইলস, আরেকটি বাইরের অংশের পাইলস। ভেতরের অংশের পাইলসগুলো বুঝতে কষ্ট হয়, যত দিন না এগুলো বাইরে চলে আসে বা রক্তক্ষরণ হয়, তত দিন পর্যন্ত বোঝা যায় না। বাইরের যে পাইলসগুলো থাকে, সেগুলো সহজে বোঝা যায়। কারণ হলো স্ফীত হয়ে যায় আর রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ব্যথা বোধ করে। তখন এটি বোঝা সহজ হয়। তবে ইন্টারনাল পাইলসগুলো একটু দেরিতে বুঝতে পারে।
পাইলসের কিছু পর্যায় রয়েছে। কিসের ভিত্তিতে সেই পর্যায় নির্ধারিত হয়?
এর পর্যায় আমরা ভাগ করে থাকি, ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর হিসেবে। ওয়ান হলো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়, খুব একটা সমস্যা রোগীদের হয় না। দেখতে পারি যে তাদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হয় না। হয়তো জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন বা খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন করলে এটি সম্ভব। পর্যায় টু-তে এটা একটু বড় হয়, প্রথম পর্যায় থেকে দ্বিতীয় পর্যায়টা একটু বড় হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, পাশাপাশি কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে সম্ভব। তৃতীয় পর্যায়ে মূলত পাইলসটা মলদ্বারের মুখের কাছে চলে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মলত্যাগ করার পর আবার ভেতরে চলে যায়। কখনো কখনো হয়তো চাপ প্রয়োগ করে ভেতরে ঢোকানো লাগে। এ ক্ষেত্রে ওষুধে খুব একটা কাজ হয় না। আমরা মূলত এ ক্ষেত্রে সার্জারির কথা বলে থাকি। আর চতুর্থ পর্যায়, যেটা ভেতরের পাইলসগুলো মলদ্বারের একেবারের বাইরের পর্যায়ে এসে যায়, বাইরেই থাকে সব সময়, এটাতে সে সব সময় অস্বস্তি বোধ করে, এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার অবশ্যই প্রয়োজন। এ ছাড়া একে ওষুধের সাহায্যে কোনোভাবে চিকিৎসা দিয়ে নিরাময় করা যায় না।
পরে আবার নতুন করে হওয়ার কি কোনো আশঙ্কা রয়েছে?
আসলে যেটা হয়, যিনি অস্ত্রোপচার করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। আমি ২০ বছর ধরে এই অস্ত্রোপচারগুলো করে আসছি। আমি যাদের করে দিয়েছি, তাঁদের দ্বিতীয়বার দেখিনি যে এই পাইলস নিয়ে আসতে।
ডা. আহম্মেদ উজ জামান, বিভাগীয় প্রধান, সার্জারি বিভাগ, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ
ডক্টোরোলা ডট কম
No comments:
Post a Comment