ডাবের পানি আমাদের অনেকেরই খুব প্রিয়। এখন জেনে নিন এর উপকারিতা এবং কিছু সতর্কতা যা অবশ্যই মেনে চলা উচিতঃ
# ওজন কমায়ঃ ওজন কমাতে ডাবের পানি সহায়তা করে। এতে
কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল না থাকায় বেশী পান করা যায়। ডাবের পানি শরীরের
চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
# রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেঃ ডাবের পানির প্রাকৃতিক
পুষ্টিগুণ শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে,
হৃদঝুঁকি কমায়। এছাড়া ডাবের পানি শরীরের ভেতরে অতিরিক্ত সুগার লেভেলকে
নিয়ন্ত্রণ রাখে।
# ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করেঃ ডাবের
পানির মধ্যে এমন কিছু উপাদান (অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল)
আছে যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রত্যেক
দিন যেসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আমাদের পেটে প্রবেশ করে তা ধ্বংসের জন্য এক
গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া যায়।
# হজমে সমস্যায়ঃ ডাবের পানি বদহজম , গ্যাসট্রিক , আলসার , কোলাইটিস , ডিসেন্ট্রি এবং পাইলসের সমস্যায় দূরীকরণে সাহায্য করে।
# দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ ডাবের পানিতে খনিজ লবণ,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি উচ্চমাত্রায়। এসব খনিজ লবণ
দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। দাঁতের মাড়িকে করে মজবুত। অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে
রক্ত পড়ে। মাড়ি কালচে লাল হয়ে যায়। হাসি বা কথা বলার সময় তা দেখা যায়। এ
অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দেবে ডাবে বিদ্যমান খনিজ লবণ।
# ডায়রিয়া / কলেরা / বমি সংক্রান্ত সমস্যায়ঃ দেহে
ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব হলে এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হলে ডাক্তাররা
ডাবের পানি পানের পরামর্শ দেন ৷ ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের ঘনঘন পাতলা
পায়খানা ও বমি হলে দেহে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায় ৷
ডাবের পানি এই ঘাটতি অনেকাংশেই পূরণ করতে পারে ৷
# শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন ও ত্বকের সুরক্ষায়ঃ গরমে
সবারই দেহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে ত্বকে ফুটে ওঠে
লালচে কালো ভাব। ডাবের পানি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে শরীরকে রাখে
ঠান্ডা। তারুণ্য ধরে রাখতে এর অবদান অপরিহার্য। ডাবের পানি যেকোনো কোমল
পানীয় থেকে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, এটি সৌন্দর্যচর্চার প্রাকৃতিক মাধ্যম ও
চর্বিবিহীন পানীয়। মুখে জলবসনন্তের দাগসহ বিভিন্ন ছোট ছোট দাগের জন্য সকাল
বেলা ডাবের পানি দিলে দাগ মুছে এবং মুখের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ে ৷
::: ডাবের পানি পানে সাবধানতা :::
ডাব নিয়মিত খেলে কিডনি রোগ হয় না৷ আবার কিডনি রোগ হলে ডাবের পানি পান
করা সম্পূর্ণ নিষেধ৷ কারণ কিডনি অকার্যকর হলে শরীরের অতিরিক্ত পটাশিয়াম দেহ
থেকে বের হয় না ৷ ফলে ডাবের পানির পটাশিয়াম ও দেহের পটাশিয়াম একত্রে কিডনি
ও হৃদপিণ্ড দুটোই অকার্যকর করে ৷ এ অবস্থায় রোগীর মুত্যু অনিবার্য৷ তাই
যাদের দেহে প্রচুর পটাশিয়াম আছে এবং বের হয় না তাদের ডাবের পানি পান করা
ঠিক না৷ ডাবের পানি রোগীকে পান করানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
উচিত ৷
No comments:
Post a Comment