১. স্ফীতি
আপনি কি স্ফীতির কারণে উত্পীড়িত? লবণ খাওয়ার
পরিমাণ কমিয়ে দিলে আপনি স্ফীতির হাত থেকে রেহাই পাবেন।
লবণ বেশি খেলে
আমাদের দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে আমাদের দেহে অতিরিক্ত তরল
জমা হয়ে স্ফীতি দেখা দেয়। সুতরাং অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. উচ্চ রক্তচাপ
এ
ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে রক্তচাপে হেরফের হওয়ার সঙ্গে লবণ
খাওয়ার একটি যোগসূত্র রয়েছে। আপনি যতই বেশি লবণ খাবেন ততই আপনার দেহে
সোডিয়ামের মাত্রা বাড়বে। আর দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ার মানে হলো রক্তচাপও
বেড়ে যাওয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন লবণ খাওয়ার পরিমাণ ৪.৬ গ্রাম
কমিয়ে আনলেই রক্তচাপ কমে আসে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
আমাদের
দেহের জন্য সোডিয়াম জরুরি। কিন্তু সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে দেহের ওপর
এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি এটি বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকিও
বাড়ায়। এই হৃদরোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—করোনারি হৃদরোগ, হার্ট ফেইলিওর এবং
স্ট্রোক। অতিরিক্ত লবণ খেলে এই রোগগুলোর ঝুঁকি এমনকি দ্বিগুণ হয়। ধূমপায়ী,
বয়স্ক লোক, ডায়াবেটিক রোগী এবং উচ্চরক্তচাপ রয়েছে এমন লোকদের এই রোগগুলোতে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। সুতরাং আপনি যদি তাদেরই একজন হন তাহলে
আপনাকে লবণ খাওয়ার ব্যাপারে খুবই সতর্ক হতে হবে।
৪. বোধশক্তি কমে আসে
রক্তচাপ
বাড়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের সমস্যাও যুক্ত। যারা অতিরিক্ত লবণ খান এবং
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করেন তাঁদের জ্ঞানীয় সক্ষমতা বা বোধশক্তি
কমে যায়। সুতরাং অতিরিক্ত লবণ খাবেন না। আর মানসিক ও শারীরিকভাবে
স্বাস্থ্যকর একটি দেহের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ধরে ব্যায়াম করুন।
৫. কিডনির সমস্যা
দেহের
বর্জ্য পরিশোধন করে রক্ত পরিষ্কার রাখতে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হলে রক্তে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফলে
রক্তে তরলের অস্বাভাবিক হার এবং চূড়ান্ত পরিণতিতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
উচ্চরক্তচাপের ফলে কিডনি অকেজো হওয়ার মতো ভয়ানক বিপদ ঘটতে পারে। এর কারণে
রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যার ফলে চূড়ান্ত পরিণতিতে
কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনির রোগে
আক্রান্ত লোকেরা লবণ কম খেলে তাদের কিডনির আচরণে কিছুটা উন্নতি ঘটে।
পরোক্ষভাবে বলা যায়, লবণ খাওয়ার সঙ্গে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকা না-থাকার
বিষয়টিও পরোক্ষভাবে জড়িত।
৬. স্ট্রোকের ঝুঁকি
বেশি
লবণ খেলে রক্তে সোডিয়ামের হার বেড়ে যায়। যার ফলে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি হতে
পারে, যা আবার চূড়ান্ত পরিণতিতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুতরাং লবণ
খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে আনুন।
৭. ত্বক
আপনি
হয়তো ভাবতে পারেন লবণ আবার আপনার ত্বকের কী ক্ষতি করবে? তাহলে জেনে রাখুন,
বেশি লবণ খেলে বাহু, পা ও পায়ের গোড়ালিতে পানি জমে ফুলে যেতে পারে। এ ছাড়া
বেশি লবণ খেলে ত্বকের নিচেও পানি জমে ফুলে যেতে পারে।
--টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে মাহবুবুল আলম তারেক
No comments:
Post a Comment