রোযার মাসে খেজুর খায়না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। রমযান মাসে খেজুর
খাওয়া সুন্নত।
প্রত্যেক মুসলিম রোযাতে ইফতারি শুরু করেন একটা খেজুর দিয়ে
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এটা কতটা উপকারী আমাদের জন্য। খেজুরের মধ্যে আছে
ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার,
ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, আমিষ, শর্করা। আর সেই জন্য
খেজুর খুব পুষ্টিকর আমদের জন্য।
খেজুরের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবেনা তবু ও আমরা কিছুটা জেনে নেই এর উপকারিতা সম্পর্কেঃ
১) খেজুর হজমে সাহায্য করে এবং কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।
২) পলিফেনল রোগ-প্রতিরোধে সাহায্য করে কারণ এতে ফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিউট্রিয়েন্ট থাকে যা খেজুরের মাঝে বিদ্যমান।
৩) সারাদিন রোযা রাখার ফলে আমাদের দেহে শক্তি অনেক কমে যায়, কিন্তু
খেজুর দিয়ে ইফতারি করলে খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে খুব কর্মঠ মনে হয়। এর
একটাই কারণ তা হল খেজুরের মাঝে আছে ৭৫% কার্বোহাইড্রেট যা কিনা শক্তি
সঞ্চারণে সাহায্য করে।
৪) আমরা জানি দেহের লোহিত রক্তকণিকা সম্পূর্ণ দেহে পুষ্টি বন্টন করে, আর
লোহিত রক্তকনিকার জন্য দরকার আয়রন, আর আয়রনের একটি ভাল উত্স হল এই
খেজুর।
৫) খেজুর মায়ের বুকের দুধের পুষ্টি বাড়িয়ে দেয় তাই মায়ের মাধ্যমে তার বাচ্চা সুস্থ থাকবে দুধ পানের মধ্য দিয়ে।
৬) খেজুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭) যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠীন্য দূর হবে।
৮) পটাশিয়ামের একটা অনেক বড় উৎস হল খেজুর, আর এই খেজুর শরীরের নার্ভ
সিস্টেমের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া কিডনি ,স্ট্রোক ও হার্টের
বিভিন্ন সমস্যায় খেজুরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯) খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ।এতগুলো ভিটামিন একসাথে অন্য কোন ফলে পাওয়া যায়না।
১০) সারাদিন রোযা রাখার কারণে আমাদের দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক কমে
যায় আর তাই সারাদিন শেষে ইফতারির সময় কেউ খেজুর খেলে তার গ্লুকোজের ঘাটতি
অনেকটাই কমে যায়।
১১) গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর খুব উপকারী, ৬-৭ মাস থেকে সকল গর্ভবতী
মায়েরা খুব দুর্বল থাকে, খেজুর এই দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং
ডেলিভারীর পর মায়েদের যে ব্লীডিং হয় তা বন্ধ করতে খেজুর খুব সাহায্য করে।
১২) বদহজম দূর করতে সাহায্য করে খেজুর।
১৩) খেজুর রুচি বাড়ায়।
১৪) ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, হাপানী হয়ে থাকে।
খেজুরে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, তাই এইসব রোগে আক্রান্ত মানুষ
খেজুর খেলে অনেক সুস্থ থাকবেন।
১৫) খেজুর ফুসফুসের ক্যান্সার দূরীকরণে সাহায্য করে
১৬) শিশুদের রিকেটস রোগের একটি ভাল ওষুধ হল খেজুর।
১৭)খেজুরে ভিটামিন-এ থাকায় দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে।
১৮) খেজুর মস্তিষ্ককে ভাল রাখে।
১৯) খেজুর পেটের গ্যাস দূরীকরণে সাহায্য করে।
২০) কফ নির্মূল করতে, কাশি নিরাময়ে এবং এজমা দূরীকরনে খেজুর খুব গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এক কথায় বলতে গেলে খেজুরের উপকারিতা অনেক,এত অল্প কথায় খেজুরের
উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা।আর তাই ইফতারে খেজুর খাওয়া প্রত্যেকেরই উচিত।
No comments:
Post a Comment