আর তাই কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন এমন ব্যক্তিদের কাজের ফাঁকে
আরো বেশি উঠে দাঁড়ানো এবং হাঁটাহাঁটি করা উচিত, বলা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের
নতুন এক প্রচারাভিযানে।
‘অন ইয়োর ফিট’ নামের নতুন এ প্রচারাভিযানে
মানুষজনকে নিয়ম করে উঠে দাঁড়ানো ও হাঁটাহাঁটি করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমনকি দাঁড়িয়ে বৈঠক করা বা দাঁড়িয়ে কাজ করা যায় এমন ডেস্কের ব্যবস্থাকরারও
পরমর্শ দেয়া হচ্ছে।
কায়িক পরিশ্রম না করা স্বাস্থ্যের জন্য ‘বড়
ধরনের হুমকি গুলোর একটি’ বলে বর্ণনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে হৃদরোগ,
টাইপ টু-ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও মানসিক রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
যেসব ব্যক্তি নিজেদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে দাবি করেন, তাদের ক্ষেত্রেও দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
দীর্ঘক্ষণ
বসে কাজ করলে বিপাক ক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়। এছাড়া, রক্তে শর্করার পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণ, রক্তের চাপ ও শরীরের চর্বি ভেঙে শক্তি উৎপাদনের কাজেও তা
প্রভাব ফেলে।
‘গেট ব্রিটেন স্ট্যান্ডিং’ এবং ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’ এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
গেট
ব্রিটেন স্ট্যান্ডিংয়ের গেভিন ব্রাডলি বিবিসি’কে বলেন, “আমরা সবাই আমাদের
কাজের পরিবেশের শিকার। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রের বাইরে
অনেক কিছু করি এবং কর্মক্ষেত্রে ঘণ্টার পরঘণ্টা বসে কাটাই।”
“এ
সমস্য সমাধানের জন্য আমাদের নতুন এবং উদ্ভাবনী পন্থার প্রয়োজন। দাঁড়িয়ে
ফোনে কথা বলুন বা মিটিং দাঁড়িয়ে করুন। না বসে সব কাজ করার চেষ্টা করুন।”
প্রচারাভিযানে
পরামর্শ দিয়ে আরও বলা হয়- লিফ্টের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, ডেস্ক
থেকে দূরে গিয়ে দুপুরের খাবার খান, ৩০ মিনিট পরপর কম্পিউটার ছেড়ে কিছুটা
বিরতিতে যান, কলিগদের ফোনবা ই-মেইল না করে হেঁটে তাদের ডেস্কের কাছে যান
এবং প্রয়োজনীয় আলাপ করুন।
বসে না থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে প্রতি ঘণ্টায় বাড়তি ৫০ ক্যালরি পোড়ে বলে জানায় গেট ব্রিটেন স্ট্যান্ডিং।
No comments:
Post a Comment