Collected:
(নুমান আলী খান): আমরা
সব সময় আমাদের নিজেদের কে অন্যের কী আছে তার সাথে তুলনা করি । এবং আমরা
প্রতিনিয়ত সেইসব জিনিস ক্রয় করে থাকি সচেতনভাবে ও অবচেতনভাবে যেটা অন্য
জনের রয়েছে। যেটিকে আমি সামাজিক চাপ হিসেবে বোঝাতে চাচ্ছি। এটি আপনি যে
ধরনের পোশাক পরছেন
তার মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে অথবা আপনি যেই জিনিসটি
ক্রয় করছেন তার মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে, আপনি যেখানে আপনার টাকা ঢালেন, আপনি কোন ধরনের পেশা অন্বেষণ করবেন।
বেশীর ভাগ সময় আমাদের বাবা-মায়েরা আমাদের কে সামাজিক চাপ দিয়ে থাকেন।
তাদের ছেলে-মেয়রা কি এই কাজটি করতে পারবে নাকি পারবে না এটি তারা দেখেন না।
তারা এটা নিশ্চিতভাবে তাদের বাচ্চাদের বলবেন "তোমাকে একজন ডাক্তার হতে
হবে! কারন তুমি যদি এটা না করো তাহলে তোমার জীবনে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
আমাদের আসে পাশে যারা আছেন তারা সবাই সফল, তারা সবাই ডাক্তার, সুতরাং এটিই
জীবনে করার মতন একমাত্র কাজ। "আমি এটি বলছি না যে একজন ডাক্তার হওয়া খারাপ
কোন কর্ম, কিন্তু আপনার ছেলে অথবা মেয়ে যদি ডাক্তার হয় আর তারা হতে চায় নি।
আমি কখনই তাদের রোগী হতে চাইবো না! আমি তাদের কাছে যেতেও চাইবো না,
শুধুমাত্র কারনটি যদি এটা হয় যে তারা এই পেশাটি পছন্দ করেছে কারন তাদের
অভিভাবকরা চাপ প্রয়োগ করেছিলো অথবা কোন ধরনের সামাজিক চাপের কারন ছিলো।
এই ধরনের চাপগুলো আমাদের চারপাশে বিদ্যমান রয়েছে, এই ধরনের নিজেকে তুলনা
করার বিষয়গুলো আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে এবং এটি এই পরিমান শক্তিশালী হতে
পারে যে একজন মানুষ নিজেকে ক্রীতদাস হিসেবে অনুভব করবে, তারা আর মুক্ত নয়।
যেটা প্রকৃতপক্ষে বিদ্রূপাত্মক, আমরা এমন একটি সমাজে বাস করছি যেটা অহংকার
করে নিজেকে অনেক মুক্ত বলে, নিজেকে উপস্থাপন করে মুক্ত স্বাধীনতা আছে বলে,
আমি যা চাই তাই করতে পারবো, যেমন ইচ্ছা পোশাক পরতে পারবো, যেমন ইচ্ছা কথা
বলতে পারবো, যেমন ইচ্ছা তেমন দেখা যাবে, আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে টাকা খরচ
করতে পারবো, এই জিনিসগুলোর কারণেই সমাজ নিজেকে নিয়ে গর্ব করে।
যদি আপনি কোন জায়গায় সাধারনভাবে যান যেমন উচ্চ বিদ্যালয়ে (আমেরিকায়) আপনি
এক ঝাঁক বাচ্চাদের দেখতে পারবেন যারা পুরাপুরি একি রকম পোশাক পরে আছে,
(স্কুল ইউনিফর্ম নয়) তারা পুরাপুরি একি রকম পোশাক পরে আছে, সব হিপহপ
বাচ্চারা দেখতে একি রকম, সব goth বাচ্চারা দেখতে একি রকম, সব emo বাচ্চারা
দেখতে একি রকম। দেখে মনে হয় তারা সবাই একি ইউনিফর্ম পড়ে আছে, এবং তাদের কথা
বলার ধরনটিও একটি নির্দিষ্ট রকমের হতে হবে এবং আপনার কথা বলার ধরনটি যদি
তাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহলে আপনাকে নির্বাসিত করা হবে। যখন আপনি
এই বিষয় টি দেখবেন, আপনি বলবেন আমি এখানে কোন স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি না।
আমি যেই জিনিসটি পেয়েছি সেটা হচ্ছে সাংস্কৃতিক দাসত্ব। এই যুবক ছেলেটি অথবা
যুবতী মেয়েটি এই সিদ্ধান্ত টিও নিতে পারে না যে তাদের দেখতে কেমন হওয়া
উচিত অথবা কি রকমভাবে কথা বলা দরকার অথবা তাদের নিজেদের কিভাবে হাঁটা
প্রয়োজন, তাদেরকে অনুকরন করে চলতে হবে যেভাবে তাদের চারপাশে সবাই চলছে ।
মাঝেমাঝে এটি ইচ্ছাকৃত ভাবে হয় , মাঝেমাঝে আপনি বশ্যতাস্বীকার করে নেন যে
এটি বেঁচে থাকার জন্য অধিকতর ভালো উপায়, এটিই কাপড় পড়ার অধিকতর ভালো উপায়
অথবা কথা বলার । এটিই আমার সময়ে করার মতন ভালো কাজ, এটিই সেই ধরনের মিউজিক
আমি যার প্রতি আসক্ত হতে চেয়েছিলাম অথবা এটি সেই ধরনের অভ্যাস যেইগুলো আমি
করবো, এই একটি সচেতন সিদ্ধান্ত যা একটি মানুষ নিয়ে থাকে, এটিই জীবন যাপন
করার ধরন।
আবার মাঝে মাঝে এটি চাপের কারণে হয়, আমি মুসলিম কিশোর
বাচ্চাদের সাথে মিশেছি যারা আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছে এবং যখন
আপনি এদের দিকে তাকাবেন আপনার মনে হবে "ভাই এই মানুষটি কি কোন গ্যাং এর
সদস্য অথবা এরকম কোন কিছুর?" এবং তারা যখন আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা
করবে তারা কান্নাকাটি করবে। এবং তারা বলবে "আমি এই ধরনের পোশাক পরতে চাই না
আমি এই ধরনের চেহারার হতে চাই না, কিন্তু আমি যদি এটা না করি তাহলে আমাকে
স্কুলে শাস্তি দেয়া হবে।"
এটা এক ধরনের দাসত্ব, এটাই সাংস্কৃতিক দাসত্ব।
অনুবাদ করেছেনঃ এরিয়েন রাসেল
No comments:
Post a Comment